বিশ্ব রায়

চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেন-কে  স্মরণ -শ্রদ্ধা

রাতভোর একটাই প্রত্যাশা করেছেন তিনি :
‘সিনেমার নীল আকাশের নীচে বাসযোগ্য স্থান খুঁজে দেবেন আজীবন ’ ।
বাইশে শ্রাবণ– থেকে তা তিনি পেরেছেন।
পুনশ্চ : সত্যি সত্যি তিনি তা পেরেছেন ।।
অবশেষে তাঁকে– প্রতিনিধি-র স্বীকৃতি দিয়েছেন সব্বাই !
এটা যে কোনো আকাশ কুসুম কল্পনা নয়,
প্রমাণ করলেন মাটির মনিষ
তবুও, ভুবন সোম-এর ইচ্ছাপূরণ হয়নি! বলেছেন– কেউ কেউ।
কোনো কোনো ইন্টারভিউ-য়ার সাদা সত্যিটা না খুঁজেই…
এক আধুরি কহানি বলে নস্যাৎ করতে চেয়েছেন;

কিন্তু,
কলকাতা ৭১-এর দিনগুলোতে তাঁর ভূমিকার কথা ভোলা যাবে কী করে?
যে সময় পদাতিক-এরা এপ্রান্ত-সেপ্রান্ত থেকে এসে–
কোরাস-এ, গলা কোরাস-এ,ফাটানো চিৎকারে জানিয়েছে– তাদের প্রতিবাদ!
কিন্তু, মিডিয়ার মৃগয়া-চারীদের নজরে তারাও যে টোপ!
তাঁর গ্রামের কাহিনী– ওকা উরি কথা, নিছকই কথা– যদি বলেন কেউ…
পরশুরাম তার বিরোধিতা করবে। প্রশ্ন করবে–
একদিন প্রতিদিন দেখতে কি পান না– সেই ক্ষত?
আকালের সন্ধানে কি যেতে চায় না মন?
বাংলা নয়, গোটা ভারতবর্ষের চালচিত্র এটা।
এত সহজেই কি সব কিছু হুটাহুট, খারিজ করা যায় স্যার?
জানি না, কোন খণ্ডহর-এর বুকে বসে
জেনেসিস-এর সন্ধান করতে হবে তাঁকে! সব্বাইকে!!

কিন্তু এমন একদিন যদি হয়– একদিন অচানক এই মহাপৃথিবী-টা লজ্জায় অন্তরীণ হয়ে যায়।
আসে তাঁর দেখা এক নতুন পৃথিবী; নতুন নতুন স্বপ্নদেখা মানুষদের নিয়ে…
সবাই পৃথিবীটাকে ছোটো শিশুর মতো বুকে আগলে রেখে বলতে পারে–
আমার পৃথিবী– আমার ভুবন!