অঞ্জন আচার্য
মাথার দিব্যি দিয়ে বলি—
লিখে কী ছাইপাঁশ হবে শুনি?
সমাজ পাল্টায় না লেখনিতে
যাদের নিয়ে গড়ে ওঠা গোটা দেশ— তারা লেখা পড়ে না।
পড়লেও মনে রাখে না,
ভুলে যাওয়া রোগ আছে তাদের গোল্ডফিশের মতো।
হাজারটা ফর্দ আছে তাদের মনে রাখার প্রয়োজনে
অফিসের টাইম, সাইরেন বাজানো ঘোড়দৌড়, সারাদিন হুটোপাটি
অবসরে পরনিন্দা-পরচর্চা, শেয়ার বাজার, ‘জাতি ও রাষ্ট্রের উদ্ধার’ কাজে নামা;
বাড়ি ফেরা পথে আলু-পটল, হাঁপানির ওষুধ, কাগজে মোড়া কন্ডোম।
টিভিতে খবর, বিছানায় গড়াগড়ি খবরের কাগজ।
সব শোনে কানে সিসা গুজে, সব দেখে চোখে টিনের চশমা পরে
ঘুমাতে যাওয়ার আগে নামজপ করে— কিচ্ছু হবে না, আরো রসাতলে যাবে সব!
তাই সময় বদলে যায়, সমাজ পাল্টায় না।
সমাজ পাল্টায় বিপ্লবে
বিপ্লব ঘনীভূত হয় শব্দে
শব্দ থরে থরে গেঁথে গড়ে ওঠে বাক্যের অবয়বে
বাক্যে বাক্যে তৈরি হয় লেখনি
সেইসব লেখা ধ্বনিত হয় অলিগলির দেয়ালে-কার্নিশে
ফুটপাথ থেকে ফেসবুকে, তারপর মিডিয়ায়, সবশেষে রাষ্ট্রালয়ে।
অতঃপর নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেনে ধ্বনি ক্রমাগত প্রতিধ্বনি হয়;
বেজে ওঠে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে—শিরা-উপশিরায়, কোষ-অণুকোষে
সমাজ পাল্টায় লেখায়; বদলাতে বাধ্য করে।