ঝুমকি বসু
পুজোর দিনগুলোতে পোশাক আর গয়নার বাইরেও নারীর আর একটা কথা সবসময় মাথায় রাখতে হয়। তা হচ্ছে কেমন হবে এই দিনগুলোর মেকআপ? সকালের মেকআপ হবে একরকম, রাতে আবার হবে অন্যরকম। তাই মেকআপ নিয়ে ভাবনাটা এসেই পড়ে। এইসব দিনে কেমন মেক-আপ আপনাকে মানাবে চলুন দেখে নেওয়া যাক –
দিনের সাজে মেকআপ হালকা হলেই ভালো লাগবে। প্রথমে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে। প্রাইমার লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে মেকআপ শুরু করতে হবে। হালকা ফাউন্ডেশন, অল্প পরিমাণে কনসিলার লাগিয়ে ব্লেন্ড করে পাউডার দিয়ে সেট করে নিতে হবে। সকালে চোখের সাজ হালকা রেখে ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক লাগানো যেতে পারে। চুল বেঁধে রাখাই ভালো, কারণ এতে গরমে অস্বস্তি লাগবে না। চাইলে চুলে গুঁজে নিতে পারেন তাজা ফুল।
রাতের সাজ হতে হবে জমকালো। মন মতো বেইজ মেকআপ করে নিন। হাইলাইটসও করা যেতে পারে। গালে গোলাপি বা কোরাল শেইডের ব্লাশ অন লাগিয়ে নিন। চোখের সাজে সোনালি, রুপোলি বা যেকোনো রংয়ের গ্লিটার শ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন। চোখে মোটা করে টেনে কাজল ও লাইনার লাগিয়ে নিন, পাপড়িতে বুলান কয়েক পরত মাস্কারা। গালের উঁচু অংশে, কপালে, নাকে, থুঁতনিতে এবং ঠোঁটের উপর হাইলাইটার বুলিয়ে নিন।
রাতের সাজের সময় কোনো বাধা নেই। তবে সাজুন সময় নিয়ে, যত্ন করে। বছরের এই দিনটার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয় পুরো একটা বছর, তাই এই সাজটাও হওয়া চাই তেমনই জমকালো।
একটা কথা মনে রাখুন, বাইরে ঘুরে মজা করে যত রাতেই বাড়ি ফিরুন আর যতই ক্লান্ত থাকুন না কেন, মেকআপ না তুলে শুতে যাবেন না। প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে তুলোয় লোশন বা অলিভ ওয়েল দিয়ে ঘষে ঘষে মেকআপ তুলে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মেখে ঘুমোতে যান। এতে ঘুমের মধ্যে আপনার ত্বক পরের দিনের সাজের জন্য তৈরি করবে নিজেকে।